প্রেমে ব্য’র্থতার কারনেই কি জীবন দিলেন জান্নাতুল হাসিন?

কুমিল্লায় জান্নাতুল হাসিন (২৪) নামের এক তরু’ণীর মৃ’ত্যু হয়েছে। ছাদ থেকে লা’ফিয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃ’ত্যু হয়। সে নগরীর ধ’র্মসাগর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা ইদ্রিস মেহেদীর মেয়ে।

ঢাকায় বোনের বাসায় থাকতেন জান্নাতুল হাসিন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) থেকে স্নাতক শে’ষে মিরপুরে মা’র্কেন্টাইল ব্যাংকে তিনি শিক্ষানবীশ ছিলেন। সোমবার রাতে তিনি কুমিল্লায় বাড়িতে যান। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলায় সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের,

পিছনে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরে অফিসের পাশে এ ঘ’টনা ঘ’টে। এসময় এলাকায় আ’তঙ্ক ছ’ড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পু’লিশকে খবর দেয়। ওই শিক্ষার্থীর বাবা ইদ্রিস মেহেদী জা’নান, সোমবার ঢাকা থেকে কুমিল্লার বাসায় আসেন জান্নাতুল হাসিন। সারারাত মন খা’রাপ ছিলো। বেলা দেড়টায় সে শ্যাম্পু আনার কথা বলে বের হয়।

পরে প্বার্শবর্তী গোল্ড সিলভার হোমসএর একটি ৯ তলা আবাসিক ভবন থেকে লা’ফ দিলে তার মৃ’ত্যু হয়। তবে সে আমাদেরকে তার মন খা’রাপের বিষয়ে কিছুই জা’নায় নি। স্থানীয় ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর কাদের মনি জা’নান, আমি আমা’র অফিসে বসে ছিলাম। হ’ঠাৎ একটি আওয়াজ হয়। বেরিয়ে দেখি একটি মেয়ে র’ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

প্রত্যক্ষদ’র্শী সাইফুল হাসান শিমুল বলেন, আমি ঘ’টনাস্থলের পাশেই ছিলাম। হ’ঠাৎ বিকট আওয়াজ হয়। পরে চেয়ে দেখি একটি মেয়ে র’ক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কি কারনে সে এমন ক’রেছে এ প্রশ্নের জ’বা’বে বাবা ইদ্রিস মেহেদী জা’নান, এখনো বুঝতে পারছি না কেন আমা’র মেয়ে এমন ক’রেছে।

আমা’র তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে জান্নাতুল হাসিন মেঝো ছিলো। সে বিবিএ শে’ষ ক’রে এমবিএ পড়ার প্র’স্তুতি নিচ্ছিলো। হাসিনের বিষয়ে খোঁ’জ নিতে গিয়ে একটি সূত্রে জা’না গেছে, কুমিল্লা মডার্ন স্কুলে পড়ার সময় এক বছরের সিনিয়র এক ছেলের স’ঙ্গে প্রেমের স’স্পর্ক গড়ে উ’ঠে তার। দীর্ঘদিনের এ প্রেমে ফা’টল ধ’রে কিছুদিন আগে।

অন্য একজনকে বিয়ে ক’রে ওই ছেলেটি। বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না হাসিন। এর মধ্যে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় হাসিন ও ওই যুবকের। পুরনো স’স্পর্ক নিয়ে কথাও হয় তাদের মাঝে। এর পর সোমবার রাতে বাড়ি ফি’রে মঙ্গলবার দুপুরে জীবন দেয় হাসিন। প্রেমের বিষয়টি উল্লেখ ক’রে হাসিনের বান্ধবী অমাইশা,

নুপুর তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লি’খেছেন, ‘আমা’র কাছে এখনো স্বপ্নের মতো লাগছে, তোমা’র নি’স্তেজ শ’রীরটা দেখে আমা’র শ’রীরটা থরথর ক’রে কাঁ’পছিলো। নিজে’র চোখকে বি’শ্বা’স ক’রতে পারছিলাম না। দুইদিন আগেও তোমায় নিয়ে কথা বলছিলাম আপনের সাথে।’

তিনি আরো লেখেন, ‘এতো হাসিখুশি মানুষ তুমি ছিলা, কিন্তু ভেতরে এতোটা ভে’ঙ্গেচু’ড়ে ছিলা, কেউ তোমা’র হাসির আ’ড়ালের দুঃ’খটা খুঁ’জে দেখেনি। কাউকে বুঝতেও দাওনি। ভালোবাসার মানুষটা অন্য কারোর হওয়ার ক’ষ্টটা কোনো মানুষই মানতে পারে না। প্রেম করবে একজনের সাথে আর বিয়ে ক’রে অন্য কাউকে।

এরা ১ মিনিটেই বদলে যেতে পারে, মু’হূর্তেই অনেকদিনের স’স্পর্ককে গ’লা’টি’পে হ’ত্যা ক’রতে এদের বুক একটুও কাঁ’পে না। কারণ এটা তখন নতুন প্রেমের নে’শায় নিজে’র বি’বেক- মনুষত্ববোধকে মে’রে ফেলে, চিন্তাও ক’রে না ঐ মানুষটা তাকে ছাড়া থাকবে কি ক’রে। এরা তো ঠিকই নতুন মানুষটার সাথে হাসিখুশি দিন কা’টায়,

ক’ষ্ট এদের একটুও ছোঁয় না। ক’ষ্টে থাকে তারা, যারা এদের মতো বে’ঈমা’নদের বি’শ্বা’স ক’রে, মন থেকে ভালোবাসে, একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখে। বিনিময়ে পায় জী’বন্ত লা’শ হয়ে বেঁ’চে থাকা আর না হয় এভাবে লা’শ হয়ে যায়…’ এদিকে খবর পেয়ে কোতয়ালী থা’নার পু’লিশ ঘ’টনাস্থলে আসে। লা’শের সুরুতহাল ক’রেন কোতয়ালী থা’নার উপপরিদর্শক আবদুর রহিম।

পরে ঘ’টনাস্থলে আসেন কোতয়ালী মডেল থা’নার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল হক। তিনি জা’নান, এ ঘ’টনার পেছনে অন্য কোন ঘ’টনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। লা’শ উ’দ্ধার ক’রে ময়নাত’দন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হা’সপাতা’লে প্রেরণ ক’রা হয়েছে।