মসজিদে বি’ষ্ফোর’ণের ঘটনায় মৃ’তের সংখ্যা বেড়েই চলছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজে’লার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বি’স্ফো’রণের ঘ’টনায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জা’রি ইনস্টিটিউটে চিকি’ৎসাধীন অব’স্থায় শি’শু-মুয়াজ্জিনসহ ১৪ জন মা’রা গেছেন।

এছাড়া চিকি’ৎসাধীন ২৩ জনের অবস্থাও সংক’টাপন্ন। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পু’লিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পু’লিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জা’নান। মৃ’তরা হলেন- জয়নাল (৫০), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০),

ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭) ও রাসেল (৩৪)। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজে’লার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বি’স্ফো’রণের ঘ’টনা ঘ’টে। মু’হূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আত’ঙ্ক ছ’ড়িয়ে প’ড়ে।

হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অব’স্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জা’রি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আরোও পড়ুনঃ এসি নয়, বিস্ফোরণের কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা-–নারায়ণগঞ্জ সদর উপজে’লার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বি’স্ফো’রণ এসি থেকে নয়, গ্যাস লাইন থেকে ঘ’টেছে বলে জা’নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘ’টনাস্থল পরিদ’র্শন করে এ কথা জা’নান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, মসজিদের নিচ দিয়ে (মেঝেতে) একটি গ্যাস পাইপ রয়েছে। আর এ পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতর গ্যাস জমা হয়। মসজিদে এসি চলার কারণে দরজা জা’নালা সব ব’ন্ধ রাখা হয়।

আলো বাতাস বের হতে পারে না। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। বি’স্ফো’রণের আগে বিদ্যুতের কোনো কিছু জালানোর সময় স্পার্কিং করে।আর সেই স্পার্কিং থেকে বি’স্ফো’রণ ঘটতে পারে। মসজিদের মেঝেতে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ ওঠায় সন্দে’হ হয়। পরে খোঁ’জ নিয়ে দেখা যায় মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে।

আর পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিকেজ রয়েছে। সেই লিকেজে’র গ্যাস সব সময় মসজিদে ওঠতো। আর নামাজে’র আগে থেকে মসজিদের দরজা জা’নালা ব’ন্ধ করে এসি চালু করার ফলে পুরো রুমে এসি ও গ্যাস মিশে যায়। আর তাতে করে ভ’য়াবহ এ বি’স্ফো’রণ ঘ’টে। এসি বি’স্ফো’রণ হওয়ার কারণ হলো এসিতে গ্যাস ছিল।

আম’রা ধারণা করে তিতাস গ্যাস ক’র্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নি’শ্চিত করে। তারা জা’নান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বি’স্ফো’রণ হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর অ’ভিযোগ, মসজিদের ভেতর দিয়ে গ্যাস লাইন এবং গ্যাস লাইনে লিকেজে’র স’মস্যা বিষয়ে তিতাস ক’র্তৃপক্ষ একাধিকবার বলার পরও তারা কর্ণপাত করেনি।

এমনকি লাইন সরানোর জন্য তিতাসের লোকজন মোটা অংকের টাকা দা’বি করে। যার কারণে এলাকার লোকজন ও মসজিদ কমিটি হ’তাশা নিয়ে তিতাস ক’র্তৃপক্ষকে আর কিছু বলেনি। তিতাসের গাফলতির কারণে এ বি’স্ফো’রণ ঘটলো। এই ঘ’টনায় নারায়ণগঞ্জ তিতাস ক’র্তৃপক্ষকে দায়ী করেন এলাকাবাসী।