ফাঁ’সির রায়ের পর হাসতে হাসতে প্রিজন ভ্যানে উঠলেন ও ইশারায় টাকাও চাইলেন!

রগুনার আ’লো’চিত রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলার রায় ঘো’ষণা করা হয় বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। এই মা’মলায় রা’য়ে’ ৬ জনের ফাঁ’সির আদেশ দিয়েছেন আ’দা’লত। বিচারক রায় পড়ার পুরো সময়জুড়েই শান্ত ও স্থির ছিলেন মিন্নি।

এদিকে এই রা’য়ে’র পর আরেক মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সা’মি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীকে হাসতে দেখা গেছে। রায় ঘো’ষণার পর আ’সা’মিদের আ’দা’লত থেকে কা’রাগারে নেওয়ার সময় রিফাত হাসতে হাসতে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন। এ সময় ভ্যানে উঠেই তিনি হাতের ইশা’রায় কারো কাছে টাকাও চান।

বুধবার বিকেল ২টা ৫৫ মিনিটের সময় এ দৃ’শ্যের অ’বতা’রণা হয় বরগুনার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দা’লতের প্রধান ফটকে। রায় ঘো’ষণার পর ফাঁ’সির দ’ণ্ডে দ’ন্ডি’ত এ মা’মলার ছয় আ’সা’মির মধ্যে মিন্নি ও আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন ব্যতিত অন্য সকল আ’সা’মিকে স্বা’ভাবিক দেখা যায়।

এ সময় প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে উচ্চস্বরে রিফাত ফরাজী বলেন, ”আম’রা যা করেছি তা আল্লাহই করিয়েছে। আর ভবিষ্যতেও যা হবে, তাও আল্লাহই করাবেন।” পরে আ’দা’লত থেকে প্রিজনভ্যানের ভেতরেই উ’ল্লা’স ক’রতে ক’রতে কা’রাগারে যান তারা।

আরোও পড়ুনঃ আ’দা’লত থেকে বা’বার সা’থে আ’র বা’ড়ি যা’ওয়া হ’লো না ফাঁ’সি’র আ’সা’মি মি’ন্নির–বরগুনার রিফাত হ’ত্যায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাঁ’সির আদেশ দিয়েছেন আ’দালত। মিন্নি সহ ছয়জনকে ফাঁ’সির আদেশ দিলেও মু’ক্তি পায় আরো চারজন। গতকাল বুধবার মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সাথে সকাল পৌনে ৯টার দিকে,

আদা’লতে হাজির হন। এসময় মিন্নির মুখে সাদা মাস্ক ও সাদা থ্রিপিছ পরিহিত ছিলেন। প্রত্যেক দিন আদা’লত থেকে কাজ শেষ করে বাবার সাথে মোটরসাইকেলে চে’পে বাড়ি গেলেও আজ ফাঁ’সির আ’সামি হয়ে পু’লিশ ভ্যানে করে যেতে হচ্ছে জে’লখা’নায়। অন্যান্য দিন মিন্নিকে সাথে নিয়ে তার বাবা বের হলেও আজ মিন্নিকে ছাড়াই আদা’লত প্রাঙ্গণ ত্যা’গ করেন তিনি।

মিন্নি এতদিন তার আ’ইনজীবীর হেফাজতে জা’মিনে ছিলেন। আজ তাকে কা’রা গা’রে নিয়ে যাওয়া হবে। ফাঁ’সির দ’ণ্ডপ্রা’প্তরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টি’কটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মাম’লায় চার আ’সামিকে বে’কসু’র খা’লা’স প্রদান করা হয়েছে। খা’লাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজে’র সামনে মানুষের উপ’স্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কু’পিয়ে হ’ত্যা করা হয়।

পরে রিফাতকে কু’পিয়ে হ’ত্যার একটি ভি’ডিও ফেস’বুকে ছ’ড়িয়ে পড়লে ভাই’রাল হয়। ঘ’টনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞা’ত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরু’দ্ধে মা’মলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ।

ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অ’ভিযু’ক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রা’প্তবয়স্ক দু’ভাগে বি’ভ’ক্ত করে আদা’লতে প্র’তিবেদন দেয় পু’লিশ। এর মধ্যে প্রা’প্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রা’প্তবয়স্ক ১৪ জনকে আ’সামি করা হয়। মা’মলার চার্জশিটভুক্ত প্রা’প্তবয়স্ক আসা’মি মো. মুসা এখনও প’লাতক।