তিন বছর ধরে বাইক চালাই, বউ সেজে চালালে দোষ কিসের! (লাইভ ভিডিও)

নিজে’র হলুদের দিন বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিলেন ফারহানা আফরোজ। স’ঙ্গে ছিল ব’ন্ধুরাও। বাইক দিয়ে এমন ভিন্ন রকম এন্ট্রির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ফেসবুকে অনেকে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী ভিডিও দেখে বিরূপ মন্তব্য ক’রেছেন। কেউ কেউ আবার ফারহানাকে নিয়ে নানা কল্প-কাহীনি বানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট ক’রেছেন। সেগুলো যাচাই না করেই কপি পেস্ট করে শেয়ার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে চটেছেন এই নারী বাইকার।

আরটিভি নিউজে’র কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে প্রতিবাদ ক’রেছেন লেডি বাইকার হিসেবে পরিচিত পাওয়া ফারহানা। সেই ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লি’ক করু’নআরোও পড়ুন ঃ সুযোগ পেলে বিমানও চালাতেন সেই ‘বাইকার কনে‘-—গায়ে হলুদের দিন শহরময় বাইক র‌্যালি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসেন যশোরের মে’য়ে ফারহানা আফরোজ।

একজন নারী বাইক চালিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ঘ’টনাটি স্বা’ভাবিকভাবে সমাজে’র অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় স’মালোচনার ঝ’ড়। শুধু তাই নয়, ফারহানার গায়ে হলুদের ছবি এবং ভিডিও ইউটিউবসহ নানা যোগাযোগমাধ্যমে বি’কৃতভাবে উপস্থাপন করে তার নামে বিভিন্ন কুৎসাও রটনা হচ্ছে।

এর প্রতিবাদ জা’নালেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্ট এ আলোচনা-স’মালোচনাকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না ফারহানা। তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরাও পুত্রবধূর এ মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে বিব্রত নয়। তবে মানহানির মা’মলার প্র’স্তুতি নিচ্ছেন ফারহানার মা। বুধবার (২৬ আগস্ট) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শ্বশুরবাড়ি থেকে যু’ক্ত হয়ে বাইকার বধূ ফারহানা জা’নালেন বিয়ে-সংসার,

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-স’মালোচনা নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির প্র’তিক্রিয়া। সেই স’ঙ্গে জা’নালেন যশোরে মানহানি মা’মলার প্র’স্তুতি নিচ্ছেন তার মা। বাইকার বধূ বলেন, তার আকদ হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা হয় গত ১৪ আগস্ট। তার একটি সন্তানও রয়েছে। এখন তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

বাইক চালিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আ’লোচিত-স’মালোচিত, হওয়ার পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্র’তিক্রিয়া কী’- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারহানা বলেন, আমি এখন পাবনায় শ্বশুরবাড়িতে আছি। আমা’র স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের এ নিয়ে কোনো মা’থাব্য’থা নেই।

আমা’র স্বামী অ’বাক হয়ে বলেছেন, তুমি মোটরসাইকেল চালিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গেছো এতে মানুষের স’মস্যা কোথায়? কখন থেকে বাইক চালানো শুরু জানতে চাইলে ফারহানা বলেন, স্কুল জীবনে চু’রি করে বাবার মোটরসাইকেল চালানো শিখি। এরপর টুকটাক চালালেও মূলত ২০১৭ সালে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পুরোদমে মোটরসাইকেল চালানো শুরু করি।

মোটরসাইকেল চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতাযাতও করি। সাধারণ ভাবনা থেকেই বাইক চালানো শিখি। ছোট বেলায় প্রাইভেট’কারও চালানোও শিখি। বাইক ও প্রাইভেট’কার চালানোর মতো হেলিকপ্টার ও প্লেন চালানো যদি এত সহ’জ হতো তা হলে আমি সেটাও শিখতাম। এক কথায় বলতে গেলে যদি সুযোগ পেতাম তাহলে বিমানও চালাতাম।

সবশেষ বলতে চাই, মানুষের কথাই আমি থেমে যাব না। একটা মে’য়ের প্রধান শ’ক্তি তার পরিবার। সেটা বাবার বাড়ি হোক, আর শ্বশুরবাড়ি হোক। পরিবার যদি স’ঙ্গে থাকে তাহলে মে’য়েদের যু’দ্ধজয় করার শ’ক্তি অটোমেটিক চলে আসে।