গায়ে আ’গুন নিয়েই মানুষকে বাঁ’চাতে চাওয়া সিফাত ল’ড়ছেন মৃ’ত্যুর সঙ্গে

১৭ বছরের সিফাত ল’ড়ছে আইসিইউতে। সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছিলো সে। নারায়ণগঞ্জে ম’সজিদে বি’স্ফোরণে আ’হত হয় সে। কিন্তু নিজে’র কথা না ভেবে এগিয়ে যায় বাকিদের বাঁ’চাতে। ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেকটা।

স্বজনদের আক্ষেপ, ঠিক সময়ে চিকিৎ’সা দিতে পারলে হয়তো বেঁ’চে যেত সিফাত।ঘ’টনার দিন অন্যান্যদের সাথে নারায়ণগঞ্জে ম’সজিদের বি’স্ফোরণে মা’রাত্মকভাবে দ’গ্ধ হয় কি’শোর সিফাতও। তবে তার গল্পটা অন্যদের থেকে স’ম্পূর্ণ আ’লাদা। পো’ড়া দে’হ নিয়ে সে রাতে সবাই দিকবিদিক ছুটছিলো নিজেকে বাঁ’চাতে, আর সিফাত নিজে’র কথা ভুলে ম’সজিদের দ’গ্ধদের বাঁ’চাতে চেষ্টা করে।

প্রা’ণের ভাইটা যদি সেদিন ঐ ২৫ মিনিট দেরি না করে সরাসরি হাসপাতা’লে যেত, তাহলে হয়তো আজ তাকে আইসিউতে মৃ’ত্যুর প্রহর গুনতে হতো না, শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের আইসিইউর সামনে বসে এমন আক্ষেপের কথা বলছিলেন সিফাতের বড় ভাই। সিফাতের ভাই বলেন, প্রায় ২৫ মিনিট দ’গ্ধ হয়েই সবাইকে ডেকেছে আর বলেছে মু’সল্লিদের বাঁ’চান।

তখন সেরকম না করে যদি হাসপাতা’লে আসত, তাহলে হয়ত সু’স্থই থাকত।কৃষক মো. ফরিদ মে’য়েকে ত্রিশালের বাড়িতে নিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরা হলো না। তারও ঠিকানা এখন বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউ। নারায়ণগঞ্জে’র তল্লায় ম’সজিদে বি’স্ফোরণে দ’গ্ধ হয়ে আইসিইউতে চিকি’ৎসাধীন,

প্রা’ণে বেঁ’চে থাকা সবার গল্পই এমন ক’ষ্টের।চিকি’ৎসক জা’নিয়েছেন, বলার মতো এখনও কোন ভালো খবর তাদের হাতে নেই।তিনি বলেন, আইসিইউর রো’গীরা সব সময় ক্রিটিকালই থাকে। সে হিসাবে তারা আশং’কাজনক অবস্থাতেই আছে। তবে অনিয়মের আ’গুনে পু’ড়ে জীবন-মৃ’ত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা প্রত্যেকটি মানুষের স্বজনের চাওয়া, এমন গাফিলতিতে আর যেন কারো জীবন পু’ড়ে ক্ষ’তবিক্ষ’ত না হয়।