৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী’ উধাও!

মোবাইলে পরিচয় থেকে প্রে’ম। আর প্রে’ম থেকে বিয়ে। শুরু হয় স্বামী মতি মিয়া-স্ত্রী’ লিজা আক্তারের সংসার। সংসারের কয়েকদিন পার হতেই বেরিয়ে আসে স্ত্রী’র প্রতারণার আ’সল রূপ। বাসা থেকে দুবাই প্রবাসী স্বামী মতি মিয়ার নগদ টাকাসহ ৯ লাখ টাকার স্বর্ণ ও আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী’।

বৃহস্পতিবার জে’লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আ’দালতে স্ত্রী’সহ বি’রুদ্ধে এসব অ’ভিযোগ এনে মা’মলা ক’রেছেন মতি মিয়া। মা’মলার বাদি মতি কি’শোরগঞ্জে’র পাকুন্দিয়ার পূর্ব নারান্দী গ্রামের আব্বাস আলীর ছে’লে। আর তার স্ত্রী’ লিজা একই উপজে’লার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের আলী আক’বরের মে’য়ে।

স্ত্রী’ ছাড়াও মা’মলার আ’সামিরা হচ্ছেন- স্ত্রী’র বাবা আলী আক’বর, মা আছিয়া বেগম, ভগ্নিপতি আব্দুল মালেক, বোন সুবর্ণা আক্তার ও লিজার তৃতীয় স্বামী রমজান। মা’মলা সূত্রে জা’না যায়, মতি মিয়া দীর্ঘদিন ধ’রে দুবাইতে চাকরি করেন। সেখানে থাকা অব’স্থায় লিজা আক্তারের স’ঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রে’মের স’ম্পর্ক গড়ে উঠে।

গত ২২ জানুয়ারি মতি মিয়া ক’র্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন। প্রে’মিকার আবদার অনুযায়ী বাড়িতে আসার পরদিন কি’শোরগঞ্জে লিজার ভাড়াটে বাসায় যান প্রবাসী মতি। বাসায় যাওয়ার পর লিজার বাবা আলী আক’বর, ভগ্নিপতি আব্দুল মালেক, মা আছিয়া বেগম ও বোন সুবর্ণা আক্তার জো’র করে এফিডেভিটের মাধ্যমে মতির স’ঙ্গে লিজার বিয়ে দেন।

পরে ওই বাসাতে লিজার স’ঙ্গে সংসার শুরু করেন মতি মিয়া। কিছুদিন পর মতি মিয়া নিজে’র গ্রামের বাড়ি নারান্দিতে কৃষি জমি দেখাশোনা ক’রতে যান। তখন করো’নার প্রাদু’র্ভাবের কারণে প্রায় তিন মাস স্ত্রী’র স’ঙ্গে যোগাযোগ ব’ন্ধ হয় মতির। গত ১৬ জুন স্ত্রী’র স’ঙ্গে দেখা ক’রতে বাসায় আসেন মতি মিয়া। বাসায় এসে দেখেন লিজা নেই।

বাসার আলমা’রি থেকে নগদ দুই লাখ টাকা, আলমা’রির ভেতরে থাকা ৬১ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি এনড্রয়েট মোবাইল, ১৬ হাজার টাকা মূল্যের চারটি বাটন মোবাইল, তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুই লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ মোট ৯ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছেন লিজা।

এরপর থেকে তার কোন সন্ধান মি’লছে না। তার মোবাইলটিও ব’ন্ধ রয়েছে। মতি মিয়া বলেন, লিজার তিনজন স্বামী রয়েছে। সে একজন প্রতারক মে’য়ে। মুঠোফোনে প্রতারণার ফাঁদে ফে’লে আমাকে বিয়ে করেছে। সে বাসা থেকে নগদ দুই লাখ টাকাসহ ৯ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়েছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মুঠোফোনটিও ব’ন্ধ। অ’ভিযু’ক্ত লিজা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি