চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়াতে ৫ জোড়া লোকাল ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাত্রিকালীন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে।এছাড়াও রেলের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ আনসার সদস্য। চালু করা হয়েছে টহল ইঞ্জিন।বিএনপি-জামায়াতের চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে দেশের অন্যতম যোগাযোগ খাত রেলে কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি হয় পাঁচজনের।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমান।বন্ধ করা ট্রেনগুলো হচ্ছে- রাজশাহী-পার্বতীপুরে রুটের উত্তরা এক্সপ্রেস, ঈশ্বরদী রহনপুরগামী, ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে ভূয়াপুর লোকাল ট্রেন ও জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ি একটি ট্রেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য ভোটের আগে ও পরে ৫ দিন ( ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) সকল প্রচার এমনকি মিছিল করার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। এতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে কোনো নির্বাচনি এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী আটচল্লিশ ঘন্টা এবং ভোটগ্রহণ সমাপ্তির পরবর্তী আটচল্লিশ ঘন্টা সময়ের মধ্যে কোনো জনসভা আহবান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোন মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠন বা তাতে যোগদান না করার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। এ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এদিকে ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।