বুড়িচংয়ে দুই বোনের এক প্রেমিক! এরপর…দুই বোনের আ’ত্মহ’ত্যা

কুমিল্লার বুড়িচং উপজে’লার ষোলনল ইউনিয়নে দুই বোনের এক প্রে’মিক। বুড়বুড়িয়া গ্রামের বড় বোন তানিয়া আক্তার বি’ষ পানে আত্মহ’ত্যা ক’রেছে। খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের প্রে’মিক নাঈমকে দা’য়ী ক’রে মঙ্গলবার(৩ নভেম্বর)

বুড়িচং থা’নায় মা’ম’লা ক’রেছে নি’হতের পরিবার। স্থা’নীয় সূত্রে জা’না যায়, কুমিল্লার জে’লার বুড়িচং উপজে’লার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের আবু তাহের এর মে’য়ে ও সোনার বাংলা কলেজে’র একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়া আক্তার গত শনিবার(৩১ অক্টোবর) দুপুরে বি’ষ পান ক’রে আত্মহ’ত্যা ক’রে মা’রা যায়।

জা’না যায়, একই ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া গ্রামের মৃ’ত রোস্তম আলীর ছেলে ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে’র অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো: সাইদুজ্জামান নাঈমের সাথে নি’হত তানিয়ার ছোট বোন রীমির প্রেমের সম্প’র্ক গড়ে উঠে। এই সুবাদে প্রা’য় সময় বড় বোন তানিয়ার সাথে কথোপকথন হতো নাঈমের।

বেশ কিছুদিন পর রীমি ও নাঈমের প্রেমের সম্প’র্কের বি’ষয়টি জে’নে যায় উভ’য়ের পরিবারের অভিভাবক’রা। তাদের প্রেমের বি’ষয়টি নিয়ে একে অপরকে দা’য়ী ক’রে অভিভাবকদের মাঝে কথা কা’টাকাটি হয়ে প্রেমের সম্প’র্ক দূ’রত্ব হয়ে যায়। এই ফাঁকে ছোট বোনের খোঁ’জখবর রাখতে গিয়ে বড় বোন তানিয়া সাথে কথোপকথন শুরু ক’রে নাঈম।

এই ভাবে কথা বলতে বলতে নাঈমকে ভালোবেসে ফে’লে তানিয়া। নাঈমের বড় ভাই কামরুজ্জামান মিঠু প্রতিনিধিকে জা’নান, তানিয়ার মৃ’ত্যুর কিছুদিন আগে প্রকৃতির ডকে সাড়া পেয়ে রাতে তানিয়া বাইরে যায়। এ সময় নাঈম তানিয়ার বাড়িতে যায় এবং দুইজনে দেখা ক’রে। টের পেয়ে তানিয়ার ভাই নাঈমকে আ’টকে রেখে এবং,

গরু চু’রির অ’ভিযোগ এনে নাঈমের বাড়িতে খবর পাঠায় তানিয়ার অভিভাবক’রা। ঘ’টনার খবর পেয়ে সাথে সাথে তানিয়ার বাড়িতে যায় নাঈমের পরিবার। তখনই তারা জানতে পারে তানিয়া ও নাঈমের প্রেমের সম্প’র্কের বি’ষয়টি। তখন তানিয়ার সাথে নাঈমের আর সম্প’র্ক থাকবে না এমন কথা বলে বি’ষয়টি মিটমাট ক’রে নাঈমকে,

বাড়িতে নিয়ে শাসন ক’রে এবং হাতের মোবাইলটি জ’ব্দ ক’রে তার পরিবার। এর কিছুদিন পর অর্থ্যৎ মৃ’ত্যুর আগে নাঈমের মোবাইল ফোনে না পেয়ে বড় ভাই পিন্টুর বউ(ভাবি’র) মোবাইলে কল ও ম্যাসেজ দিতে থাকে তানিয়া। ম্যাসেজে লেখাগুলো হলো- ”তুই তো আমা’র সাথে কথা না বলে একটা দিনেও থাকতে পারছ না, কি ভাবে থাকতে পারছ এতোদিন কথা না বলে”।

”আমি তোর ভ’য়েসটা শোনার জন্য কল দিছিলাম, আমা’র শোনা হয়ে গেছে”। এই ম্যাসেজ গুলো তানিয়ার পরিবারকে দেখানো হয় এবং বিয়ের প্র’স্তা’ব দেওয়া হয় কিন্তু তানিয়ার পরিবার প্র’স্তা’বে রাজি না হয়ে তানিয়াকে শাসন ক’রতে শুরু ক’রে। শনিবার আত্মহ’ত্যার কয়েক ঘন্টার আগে তানিয়ার বাবা আবু তাহের ও তার চাচা এবং জেঠাতো ভাই মামুন ও মাসুম মা’স্টা’র তানিয়াকে শাসন ক’রে এবং মা’রধ’র ক’রে।

এই অ’পমান সহ্য ক’রতে না পেরে ঘরের রুমের ভি’তরে রাখা বি’ষ খেয়ে সে আত্মহ’ত্যা ক’রে। স্থা’নীয় কয়েকজন জা’নান, ঘরের মধ্যে তানিয়া বি’ষ পান ক’রে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং নামাজে দাঁড়ানো অব’স্থায় বমি ক’রার সময় ছোট ভাই দেখে কা’ন্নাকাটি করলে বাড়ির সবাই এসে ধ’রাধ’রি ক’রে হা’সপাতা’লে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃ’ত ঘো’ষণা ক’রে।

এ বি’ষয়ে প্রতিনিধি নি’হত তানিয়ার বাড়িতে গেলে বাবা ও মা কেউ ক্যামেরার সামনে আসতে এবং কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। আধা ঘন্টা অপেক্ষার পর জেঠাতো ভাই মামুন ও মাসুম মা’স্টা’র প্রতিনিধির সাথে বাজে আচারণ ক’রেন এবং তাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন।

এ বি’ষয়ে নাঈমের বড় ভাই কামরুজ্জামান মিঠু বলেন, তানিয়ার আত্মহ’ত্যার পর থেকেই নাঈমকে মা’ম’লার হু’মকি দিয়ে আ’সছে এবং কিছু টাকাও দাবী ক’রেছে। হু’মকির ভ’য়ে আমা’র ভাই পা’লিয়ে যায়। তাকে এখন খুঁজে পাচ্ছি না। তানিয়াকে উত্যাক্ত ক’রতেন এমন অ’ভিযোগ এনে শুনেছি আমা’র ভাইকে আসা’মী ক’রে নি’হতের পরিবার থা’নায় মা’ম’লা করছে। বুধবার আমাদের বাড়িতে পু’লিশ এসেছে।

এ বি’ষয়ে মা’ম’লার ত’দন্তকারী ও বুড়িচং থা’নার এসআই মোঃ ইমরুল জা’নান, শনিবারে নি’হত তানিয়ার ম’রদে’হ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হা’সপাতা’ল ম’র্গ থেকে ম’য়নাত’দন্ত ক’রে লা’শ বাড়িতে পা’ঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বুড়িচং থা’নাতে নাঈমকে আসা’মী ক’রে একটি মা’ম’লা দা’য়ের ক’রে নি’হতের পরিবার।