ধ’র্ষণ মা’মলা’য় দেশে প্রথম একস’ঙ্গে ৫ আ’সামি’র ফাঁ’সি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০১২ সালে মাদ্রাসাছাত্রীকে অ’পহ’রণের পর গণধ’র্ষ’ণ মা’ম’লায় পাঁচ আ’সা’মিকে মৃ’ত্যুদণ্ড দিয়েছেন আ’দা’লত। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শি’শু নি’র্যা’ত’ন দমন ট্রাইব্যুনাল এ রা’য় দেন।

একইস’ঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা ক’রে জ’রিমানা ক’রা হয়েছে। গত মঙ্গলবার অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর ক’রার পর এটাই ধ’র্ষ’ণ মা’ম’লায় দেশে কোনো মৃ’ত্যুদণ্ডের প্রথম আদেশ। মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্তরা হলেন- মধুপুর উপজে’লার চারালজানী গ্রামের বদন চন্দ্র মণি ঋষির ছেলে সঞ্জিত, একই উপজে’লার গোলাবাড়ি গ্রামের,

শ্রি দীগেন চন্দ্র শীলের ছেলে গোপি চন্দ্র শীল। রা’য় ঘো’ষণার সময় তারা আ’দা’লতে উপস্থিত ছিলেন। মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রা’প্ত প’লাত’ক আ’সা’মিরা হলেন- একই এলাকার সুনীল চন্দ্র শীলের ছেলে সাগর চন্দ্র শীল, সুনিল মণি ঋষির ছেলে সুজন মণি ঋষি ও মণিন্দ্র চন্দ্রের ছেলে রাজন চন্দ্র। রাষ্ট্রপক্ষে এই মা’ম’লা পরিচালনা ক’রেন নারী ও,

শি’শু নি’র্যা’ত’ন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার। আর মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জে’লা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ মা’ম’লার শুরু ক’রে শেষ পর্যন্ত ভিকটিমকে আ’ইনি সহায়তা দেন। নারী ও শি’শু নি’র্যা’ত’ন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নাছিমুল আকতার বলেন,

২০১২ সালে দ’ন্ডিত আ’সা’মিদের মধ্যে সাগর চন্দ্র শীলের স’ঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় ভূঞাপুর উপজে’লার ছাব্বিশা গ্রামের ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর। একই বছরের ১৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী সকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে শালদাইর ব্রিজে’র কাছে পৌঁছলে সাগর কৌ’শলে একটি সিএনজিতে তাকে এলেঙ্গা নিয়ে যায়।

সেখান থেকে মধুপুরে চারাল জানী গ্রামে তার ব’ন্ধু রাজনের বাড়িতে ওঠে। সেখানে তার চার ব’ন্ধু ছাত্রীকে বিয়ের জন্য চা’প দেয়। সাগর হিন্দু বলে তার প্র’স্তা’ব প্রত্যাখ্যান ক’রে মেয়েটি। এ কারণে ওই রাতে সাগর রাজনের বাড়িতে আ’টক রেখে জো’র’পূর্বক ধ’র্ষ’ণ ক’রে মেয়েটিকে। পরে ১৭ জানুয়ারি রাতে তাকে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে,

সেখানে তারা পাঁচজনে মিলে পালাক্রমে ধ’র্ষ’ণ ক’রে ফেলে যায়। পরদিন ভোরবেলা স্থা’নীয়দের সহায়তায় মেয়েটিকে স্বজনরা এসে উ’দ্ধার ক’রে বলেও জা’নান তিনি। এ ঘ’টনায় ওই ছাত্রী বা’দী হয়ে ভুঞাপুর থা’নায় ১৮ জানুয়ারি দণ্ডিতদের বি’রুদ্ধে মা’ম’লা দা’য়ের ক’রেন। পরে পু’লিশ সুজন মণি ঋষিকে গ্রেপ্তা’র ক’রে আ’দা’লতে প্রেরণ ক’রে।

১৯ জানুয়ারি আ’সা’মি সুজন স্বী’কারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান ক’রে। সুজন তার জবানবন্দিতে সাগর, রাজন, সঞ্জিত ও গবি চন্দ্র জড়ি’ত থাকার কথা স্বী’কার ক’রে। পু’লিশ তদ’ন্ত শেষে ৫ জনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযো’গপত্র দাখিল ক’রে। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আ’সা’মিদের বি’রুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বি’চারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আজ এ মা’ম’লার রা’য়ে’ ৫ জনের মৃ’ত্যুদণ্ড দিলেন আ’দা’লত।