প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রির বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে জা’নিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।
তাই ভোক্তা পর্যায়ে সর্বো’চ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নি’শ্চিত ক’রতে জে’লা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। স’ম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে ৬৪ জে’লার জে’লা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পা’ঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে,
জা’নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট আলুর চাহি’দা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রফতানি হলেও ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। ‘আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ক’রা হয়েছে তখন প্রতি কেজি,
আলুর মূল্য ছিল সর্বো’চ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ড ষ্টোরেজ পর্যায়ের সর্বো’চ্চ ২১ টাকা খরচ প’ড়ে।’
চিঠিতে বলা হয়, সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ ক’রে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় ক’রা যু’ক্তিযু’ক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।
অন্যদিকে আড়তদারী, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার স’ঙ্গে মুনাফা যোগ ক’রে সর্বো’চ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ ক’রা হয়। একজন চাষীর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা জা’নিয়ে এতে আরও বলা হয়,
এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বো’চ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবেন। এই মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিনপক্ষই যাতে আলু বিক্রয় ক’রেন, এজন্য ক’ঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যব’স্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরো’ধ জা’নানো হয় চিঠিতে।