শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চলমান মহামা’রী করো’না র কারণে আমাদের শিক্ষা খাত নানা রকমের ঝুঁ’কিতে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধ’রে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব’ন্ধ।

কিন্তু এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খু’লে দেয়ার কথা সরকার ভাবছে না। গত মঙ্গলবার রাতে শিক্ষামন্ত্রীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের স’ঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর স’বচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেইনটেইন ক’রা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।

পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খু’লে দিলে শি’শুদের সাথে তাদের অভিভাবকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে করো’না র সং’ক্রম’ণ বেড়ে যেতে পারে। মন্ত্রী আরও বলেন, করো’না য় স্কুল ব’ন্ধ থাকায় কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাল্যবিবাহ ও শি’শুশ্রম বৃ’দ্ধি পেতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে ক্ষ’তিগ্রস্ত হচ্ছে,

মানসম্মত শিক্ষা অর্জন বা’ধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমস্ত প্র’স্তুতি থাকা সত্ত্বেও করো’না র কারণে এবছরের এইচএসসি প’রী’ক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি প’রী’ক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস সমাপ্ত ক’রা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ অনলাইনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধ’রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব’ন্ধ থাকায় আমাদের শি’শুরা সাইকলজিক্যাল বিভিন্ন স’মস্যায় ভু’গ’ছে। তিনি বলেন, করো’না য় শিক্ষাখাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মো’কাবেলায় ডিজিটাল প্রযু’ক্তি আমাদের সহায়তা ক’রেছে। করো’না পরিস্থিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না।

তাই সরকার এই প’রিস্থিতিতে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার উপর গু’রুত্ব ারোপ করছে।জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো’র নেতৃত্বে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টোমো হোযুমি বক্তব্য দেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় মিয়া সেপ্পো করো’না কালীন সময়ে,

স্বল্প সময়ের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম ও অনলাইন ক্লাস চালু ক’রায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা ক’রেন। মতবিনিময় সভায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরি’ক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।