নামাজেই মৃ’ত্যুর কো’লে ঢ’লে পড়লেন মসজিদের ইমাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে মসজিদে নামাজরত অব’স্থায় মাওলানা সোলায়মান (৫৮) নামে এক ইমামের মৃ’ত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে শহরের কুমা’রশীল মোড়ের মদিনা মসজিদে ফজরের নামাজরত অব’স্থায় মৃ’ত্যুবরণ ক’রেন তিনি।

মাওলানা সোলায়মান জে’লার নবীনগর উপজে’লার বিটঘর ইউনিয়নের গুটিগ্রামের মৃ’ত কফিল উদ্দিন মুন্সির ছেলে। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধ’রে মদিনা মসজিদের ইমামের দা’য়িত্ব পা’লন ক’রে আসছিলেন তিনি। মদিনা মসজিদের খাদেম মাওলানা অহিদুজ্জামান জা’নান, ভোরে ফজর নামাজে’র ইমামতি ক’রার সময় শ্বা’সক’ষ্ট অ’নুভব করলে মেহরাব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

পরে মুসুল্লিদের স’ঙ্গে ফজরের জামায়াতে নামাজ আদা’য় ক’রা অব’স্থায় মা’রা যান তিনি। বাদ জোহর শহরের টেংকেরপাড় মাঠে জা’নাজা শেষে তার প্রতিষ্ঠিত তিতাস পাড়া জামিয়া ইসলামিয়া সুলায়মানিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে দা’ফন ক’রা হবে। তার মৃ’ত্যুতে মদিনা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জে’লা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি,

তাজ মো. ইয়াছিন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন শো’ক প্রকাশ ক’রেছেন। এছাড়াও এ আলেমের মৃ’ত্যুতে সর্বমহলে শো’কের ছায়া নেমে এসেছে। আরোও পড়ুনঃ দুধ খেলে গ্যাস করে, পেট খা’রাপ হয়! জে’নে নিন সমাধান—

দুধ যে একটি সুষম খাদ্য তা আম’রা অনেকেই জানি। দু’ধে বিশেষ ক’রে আমিষ, চর্বি, শর্ক’রা, নানা ধ’রনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং খনিজ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। যা হাড়-দাঁত মজবুত ক’রে এবং পেশী শক্ত ক’রে। শ’রীরে পুষ্টি জুগিয়ে সু’স্থ রাখে। তবুও দুধ খেলে অনেকেরই পে’ট ফাঁপে, গ্যাস ক’রে, পে’ট খা’রাপ হয়!

কিন্তু ক্যালসিয়াম তো দরকার, কি করবেন? চিন্তা নেই, আজ আম’রা এর সমাধান নিয়েই আমাদের এই আয়োজন। দু’ধে যে আমিষ আছে, তার নাম ক্যাসিন। এই ক্যাসিন ক্যালসিয়ামের স’ঙ্গে যু’ক্ত হয়ে ক্যালসিয়াম ক্যাসিনেট তৈরি ক’রে, যা বেশ উৎকৃষ্ট মানের একটা আমিষ। দুধকে আদর্শ আমিষ বলার কারণ- এতে সব ধ’রনের অ্যামাইনো এসিড আছে।

দু’ধের প্রধান শর্ক’রা হলো ল্যাকটোজ এবং সাথে আছে অল্প পরিমাণে গ্লুকোজ। দু’ধের মিষ্টতা নির্ভর ক’রে প্রধানত ল্যাকটোজে’র পরিমাণের ওপর। দু’ধে গ্লুকোজে’র পরিমাণ কম থাকে, যার কারণে র’ক্তে বেশি শর্ক’রা বাড়ায় না। সেজন্য ডায়াবেটিস রো’গীরা নির্দ্বিধায় দুধ খেতে পারবেন। দু’ধে কিছু পরিমাণ চর্বি আছে যা ফসফোলিপিড ও ট্রাইগ্লিসারাইড গোত্রের অন্তর্গত।

এটি খুব সহজেই আমাদের পাকস্থলী হজ’ম ক’রতে সক্ষম। তবে দুধ জ্বাল দেয়ার পরে দু’ধের উপরে যে সর জমে তাতে চর্বি বেশি থাকে। যারা অতিরি’ক্ত চর্বি খেতে চান না তারা চাইলে সর সরিয়ে শুধু দুধ খেতে পারেন।দু’ধের ক্যারোটিন ও ভিটামিন ‘এ’-এর পরিমাণ নির্ভর ক’রে গরুর খাদ্যের ওপর। যে গরু বেশি ঘাস খায়, তার দু’ধে ভিটামিন ‘এ’ তত বেশি। তরল দু’ধের তুলনায় মাখন ও ক্রিমে ভিটামিন ‘এ’ বেশি।

দুধ ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। সাধারণত এক কাপ দু’ধে প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এক কাপ দইয়ে পাওয়া যাবে আরও একটু বেশি (প্রায় ৪৫০ মিলিগ্রাম)। দু’ধে ভিটামিন ‘এ’-এর স’ঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’ পর্যাপ্ত আছে বলেই তা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য ক’রে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার।

ভিটামিন ‘ডি’ দরকার ৪০০ আইইউ। আমাদের হাড়ে দুটি মূল উপাদান- ১. কোলাজেন নামের আমিষ এবং ২. ক্যালসিয়াম ফসফেট নামের খনিজ, যা দু’ধে পাওয়া যাবে। আমাদের পাকস্থলীর ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে নির্গত হয় ল্যাকটোজ নামক একপ্রকার এনজাইম, যা দু’ধের শর্ক’রা হজ’মে সাহায্য ক’রে।

যাদের শ’রীরে এই ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি আছে, তারা সাধারণত দুধ হজ’ম ক’রতে পারেন না যার কারণে বদহজ’ম হয়। দু’ধে আছে ল্যাকটোজ, আর তা হজ’মে স’মস্যা হলে তাকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলে। অনেকের বংশগত কারণে এই স’মস্যা থাকতে পারে।

ল্যাকটোজসমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে বমি ভাব, পে’টের ভেতর অস্বস্তি, কাম’ড়ানো, পে’ট ফাঁপা বা গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। অনেক সময় এই লক্ষণগুলো বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।

তবে, সু’স্থ-সবল জীবন-যাপনের জন্য প্রতিদিন দুধ খাওয়া আবশ্যক। বিশেষ ক’রে বয়স বাড়ার স’ঙ্গে স’ঙ্গে আমাদের শ’রীরের হাড়ের ক্ষয়রো’ধে দু’ধে থাকা ক্যালসিয়ামের ভুমিকা অপরিসীম। সেই জন্য শুধু দুধ খেয়ে পে’টের স’মস্যা না ক’রে, দু’ধের সাথে খাদ্যশস্য মি’শি’য়ে খাবেন। যেমনঃ দুধ-রুটি, দুধ-ভাত, দুধ-মুড়ি/খই বা দুধ-কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি।

আপনি চাইলে দই খেতে পারেন, তবে চেষ্টা করবেন মিষ্টি ছাড়া দই খেতে। দই হলো- ফার্মেন্টেড খাদ্য অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গাজন প্র’ক্রি’য়ার মাধ্যমে দই তৈরি ক’রা হয়। গাজন প্র’ক্রি’য়ার সময় দু’ধে থাকা শর্ক’রা ল্যাকটোজ ভে’ঙে ল্যাকটিক এসিডে প’রিণত হয়। ফলে যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে অর্থাৎ দুধ খেলে হজ’ম হয় না তাদের দই হজ’মে কোনো স’মস্যা হবে না।

এতে ক’রে দু’ধের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি পুষ্টি পাবেন। দই ছাড়াও দু’ধের পরিবর্তে সয়া দুধ, নারিকেলের দুধ এবং আমন্ড বাদামের দুধ খেতে পারেন। এগুলো দু’ধের মতো পে’টে স’মস্যা ক’রে না। যদি কেউ নিরামিষ/নিরামিষাশি/ভেজিটেরিয়ান হন, সেক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তা অবশ্যই চিকি’ৎসকের প’রামর্শে।

আর যাদের বদহজ’মের স’মস্যা তারা গরম দুধ খাবেন। কারণ ঠাণ্ডা দুধ, গরম দু’ধের তুলনায় ভারি, যা হজ’ম ক’রা আমাদের পাকস্থলীর পক্ষে ক’ষ্টকর। আর গরম দু’ধে ল্যাকটোজে’র পরিমাণ কম থাকে, সেই জন্য সহজেই হজ’ম হয়। যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা ঘুমানোর আগে গরম দুধ খাবেন। যাদের পে’ট ফাঁপা/গ্যাস্ট্রিক/বুক জ্বা’লা/পে’ট জ্বা’লা ইত্যাদি স’মস্যা আছে তারা ঠাণ্ডা দুধ খাবেন।

তাছাড়াও ঠাণ্ডা দুধ মেদ কমাতে সাহায্য ক’রে। যাদের ঠাণ্ডা লা’গার স’মস্যা নেই তারা সকালে খালি পে’টে ঠাণ্ডা দুধ খাবেন, এতে শ’রীরে যে পানির ঘাটতি আছে তা পূরণ হবে। যাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বা’লা-পোড়া ক’রে, তারা ঠাণ্ডা দু’ধের সাথে পরিমাণ মতো মধু মি’শি’য়ে খেয়ে নিবেন। তাহলে আরাম পাবেন।

যাদের ওজন বেশি/র’ক্তে চর্বি বেশি, তারা দু’ধের সর ফেলে/নন ফ্যাটি দুধ খেতে চেষ্টা করবেন। মাখন, ননি, চিজ/পনির, ক্রিম এবং ঘন দুধ না খাওয়াই উত্তম। (বিশেষজ্ঞ চিকি’ৎসকের মতামত সাপেক্ষে)। কন্ট্রিবিউটর- আদিবা তাসনীম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি।