নি’হত শি’শু জুবায়েরের দাফনের আগেই চিরনিদ্রায় বাবা!

নারায়ণগঞ্জে’র ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বায়তুস সালাত জামে ম’সজিদে বি’স্ফোরণের ঘ’টনায় নি’হত শি’শু জুবায়েরের লা’শ গ্রামের বাড়ি রাঙ্গাবালীতে এসে পৌঁছেছে তখন।

জা’নাজা ও দা’ফনের প্র’স্তুতি চলছিল। ঠিক এমন সময় খবর আসে, তার বাবা জুলহাসও না ফেরার দেশে চলে গেছেন। হৃদয়বিদারক এ খবরে আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে শো’কের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আহাজা’রিতে আকাশ-বাতাস ভা’রি হয়ে ওঠে। জা’না গেছে, জুলহাস ও তার ছে’লে জুবায়ের শুক্রবার এশার নামাজ আদায় ক’রতে নারায়ণগঞ্জ শহরের,

পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাম ম’সজিদে যান। সেখানে বি’স্ফোরণের ঘ’টনায় বাবা ও ছে’লে অ’গ্নিদ’গ্ধ হয়। আশ’ঙ্কাজনক অব’স্থায় দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে নেয়া হলে রাত ১টার দিকে ৭ বছরের শি’শু জুবায়ের মা’রা যায়। আর চিকি’ৎসাধীন বাবার অবস্থাও ছিল আশ’ঙ্কাজনক।এদিকে জোবায়েরের লা’শ তার মায়ের কাছে হস্তান্তরের পর,

রোববার ভোরে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজে’লার বাহেরচর গ্রামে এসে পৌঁছায়। লা’শ দা’ফন-কাফনের প্র’স্তুতিকালে খবর আসে, তার বাবা সলেমান জুলহাসও (২৮) মা’রা গেছেন। এমন খবরে তাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে শো’কের মাত্রা যেন পাহাড়সমান বেড়ে যায়। রোববার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়ির উঠোনে মাটিতে লুটিয়ে বিলাপ করছেন স্বামী-সন্তানহারা রাহিমা বেগম।

একমাত্র উপার্জনক্ষম ছে’লে ও নাতির শো’কে বাকরুদ্ধ হয়ে প’ড়ে আছেন জুলহাসের মা। এ সময় আহাজা’রি করে রাহিমা বেগম বলছিলেন- স্বামী-ছে’লে সব হারিয়েছে সে। তার আর কেউ রইল না। স্থা’নীয়রা জা’নান, ছোটবেলায় জুলহাসের বাবা বাচ্চু ফরাজী মা’রা যান। মায়ের সংসারের খরচ জুলহাসকেই বহন ক’রতে হতো।

অভাব-অনটনের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ ছিলেন জুলহাস। বিয়ে করার পর আরও সংক’টে প’ড়ে। তাই ১০ বছর আগে স্ত্রী’সহ ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে পোশাক শ্রমিকের কাজ ক’রতেন জুলহাস। বসবাস ক’রতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায়। সেখানকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শি’শু শ্রেণিতে এবার জুবায়েরকে ভর্তি করা হয়েছিল।

উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মক’র্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, হৃদয়বিদারক একটি ঘ’টনা। জে’লা প্রশাসককে নি’হতদের তথ্য দেয়া হয়েছে। রাঙ্গাবালী থা’নার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, চারজনের মৃ’ত্যুর খবর প্রাথমিকভাবে শুনেছি।