সংসদের গাছে গাছে ‘আল্লাহু’ লিখে বিশ্বজুড়ে ভাইরাল রহস্যজনক এক ব্যাক্তি (ভিডিওসহ)

রাজধানী ঢাকার জাতীয় সংসদের ‘মানিক মিয়া এভিনিউ’ সড়কের পাশে অবস্থিত ‘পাম’ গাছগুলোর গোড়ার ধারে এক পাগল বেশের ব্যাক্তি ‘আল্লাহু’ লিখে পুরো বিশ্বজুড়ে সোস্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছেন।

তার এরকম ইসলাম ধ’র্ম সম্বলিত ক’র্মকান্ড দেখে বিশেষ করে মুসলমান সমাজ আনন্দে-প্রশংসায় ভাসছেন। প্রতিটি মানুষের মুখে এখন একটিই কথা ‘সব পাগল পাগল নয়,সমাজে এখনো আল্লাহ প্রেমী পাগলও রয়েছেন’।ভাইরাল হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত তার সঠিক কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন  

আরোও পড়ুনঃ  ছা’ত্রীকে ফোন করে স্ব’র্গীয় সুখ চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
সাভা’রের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের স’ঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের এক ছা’ত্রীর ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি অশ্লী’ল ফোনালাপ ফাঁ’স হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ফোনালাপ পাওয়া যায়। ফোনালাপে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধ’রনের অশ্লী’ল কথা’বা র্তা বলেন এবং অ’বৈ’ধ স’ম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন রেজিস্ট্রার। ফোনালাপ ফাঁ’সের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফোনালাপে ছা’ত্রীকে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘হালকা কিস দেয়া, বুকে নেয়া, তেমন কিছু না। তেমন কিছু কী’? আমি কত আগ্রহ নিয়ে আসছি।

একাডেমিক ভবনে মিটিং রেখে তাড়াতাড়ি চলে আসছি। তোমা’র বোঝা উচিত ছিল লোকটা তাড়াহুড়ো করে আ’সছে। একটু আদর দিয়ে দেই। নদীর পাড়ে বসব, শেখাব। এরপর রুমে রেস্ট নেব। কিছু ঘটবে। দুটো মানুষ একস’ঙ্গে রেস্ট নিলে তো কিছু ঘটবার সম্ভাবনা থাকে; তাই না।’ছা’ত্রীকে অ’বৈ’ধ স’ম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে ফোনালাপে রেজিস্ট্রার বলেন,

‘যুবক-যুবতী যখন একস’ঙ্গে থাকে, তখন কি হয় তুমি বোঝো না? ভালোবাসা গ’ভীর হয়। একটা আত্মা আরেকটা আত্মা’র স’ঙ্গে মিশে যায়। সে সুখ স্বর্গীয় সুখ, যেটা কিনতে বা খেতে পাওয়া যায় না।’ ফোনালাপে রেজিস্ট্রার আরও বলেন, ‘আমা’র স’ঙ্গে কবে যাবা? আগামী অক্টোবর মাসের ৬-৭ তারিখে। আম’রা সকালে যাব, বিকেলে ফি’রে আসব।

আমা’র গাড়ি আছে, স’মস্যা হবে না।’ এছাড়া ফোনালাপে রেজিস্ট্রার ওই ছা’ত্রীকে যৌ’ন স’ম্পর্কের প্রস্তাবের দিয়ে এমন কিছু কথা বলেছেন যা প্র’কাশযোগ্য নয়। এজন্য পুরো ভিডিওর কথোপকথন প্র’কাশ করেনি জাগো নিউজ। এমন ফোনালাপের বিষয়ে নি’ন্দা জা’নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে’ন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইস’লাম রলিফ বলেন,

ফাঁ’স হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের স’ঙ্গে আলোচনায় বসব আম’রা। আম’রা তাদের সিদ্ধা’ন্ত স’ম্পর্কে জানব। যদি সিদ্ধা’ন্ত শিক্ষার্থীবান্ধব না হয় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে বড় ধ’রনের পদক্ষে’প নেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের স’ঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধ’রেননি।

পরবর্তীতে ফাঁ’সকৃত ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চেয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি। একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপা’চার্য (ভা’রপ্রাপ্ত) লায়লা পারভীন বানুর স’ঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে কি পদক্ষে’প নেয়া হবে জানতে চাইলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,

আম’রা কি করব, সেটি আপনারা বলে নেবেন নাকি? যা প্রয়োজনীয় তাই করব। আপনার যা ভালো মনে হয়, করেন। এটা নিয়ে বেশি নাক গলানো ঠিক না। আমাদের প্রশা’সন চালাতে দেন। এসব কাহিনি প্র’কাশ করে নিজেদের ঝামেলা বাড়াবেন না। আগে দেখেন আম’রা কি ব্যব’স্থা নিই।’

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইস’লাম চৌধুরী বলেন, এই ফোনালাপসহ ওই রেজিস্ট্রারের কী’র্তিকলাপ আমাদের জা’না আছে। তিনি থাকবেন না, এটা করো’নার আগেই সিদ্ধা’ন্ত হয়েছে। করো’না আসায় আর ভিসি বাইরে থাকায় কা’র্যকর হয়নি। এখন শুধু আদেশ কা’র্যকরের অ’পেক্ষা। ওই রেজিস্ট্রারের বি’রুদ্ধে অনেক ডকুমেন্ট আছে। তিনি পদে থাকছেন না, এটা নি’শ্চিত। আ’ইনি পদক্ষে’প নেয়ার বিষয়েও সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি আম’রা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই রেজিস্ট্রারের বি’রুদ্ধে যৌ’ন নি’পীড়নের অ’ভিযোগ ইউজিসিতে দিয়েছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছা’ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন ত’দন্ত কমিটি গঠন করে অ’ভিযোগের বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে জবাব চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জা’নায় ইউজিসি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষক রেজিস্ট্রার কর্তৃক নানাভাবে যৌ’ন হয়’রানির শি’কার হয়েছেন বলেও অ’ভিযোগ রয়েছে।