শিশু জুবায়েরের জানা ছিলো না এটাই তার জী’বনের শে’ষ নামা’জ!

নারায়ণগঞ্জে’র পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে ম’সজিদে বাবার স’ঙ্গে নামাজ পড়তে গিয়েছিল পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজে’লার শি’শু জুবায়ের। কিন্তু জা’না ছিল না যে এটাই তার জীবনের শেষ নামাজ হবে!

নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালীন ম’সজিদের এসি বি’স্ফোরণে অ’গ্নিদ’গ্ধ হয়ে জুবায়ের (৭) মা’রা যায়। অ’গ্নিদ’গ্ধ হয়ে গু’রুত্ব র আ’হত হন তার বাবা সলেমান জুলহাস (২৯)। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকি’ৎসাধীন অব’স্থায় রয়েছেন। তার অবস্থা আশ’ঙ্কাজনক বলে জা’নান পরিবারের অন্যরা।

অ’গ্নিদ’গ্ধে নি’হত শি’শু জুবায়েরের বাবার বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজে’লার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের বাহেরচর বাজারে এবং তার মা রাহিমা বেগমের বাড়ি একই ইউনিয়নের গন্ডাদুলা গ্রামে।জা’না গেছে, অর্থনৈতিক সংক’টের কারণে গত ১০ বছর আগে ঢাকায় পাড়ি জমান জুলহাস-রাহিমা দম্পতি। তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।

ওই শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বসবাস করতো তারা। সেখানকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শি’শু শ্রেণীতে ভর্তি করেন তাদের ছে’লে নি’হত জুবায়েরকে। কিন্তু কে জানতো সেই স্কুলে যাওয়া হবেনা তার! ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, নামাজে’র শেষ সময় এয়ারকন্ডিশনের গ্যাসের লিকেজ হয়ে এ বি’স্ফোরন ঘ’টে। বি’স্ফোরণের খবর পেয়ে ম’সজিদে ছুটে যায় মা রাহিমা বেগম।

গিয়ে দেখেন ম’সজিদ বি’ধ্বস্ত। কিন্তু নেই আদরের ছে’লে সন্তান ও স্বামীর কোন খোঁ’জ। পরে জানতে পারলে পাগলের মতো ছুটে যান ভিক্টোরিযা হাসপাতা’লে। তবে অবস্থার অবনতির কারনে ততক্ষনে তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে প্রেরন করা হয়। পরে রাত ১০টায় সেখানে উপস্থিত হলে দে’খতে পান তার পুড়ে যাওয়া আদরের জুবায়ের ও স্বামীকে।

ছে’লের স’ঙ্গে কথাও হয়েছিল মা রাহিমা বেগমের। তার দেওয়া পানিও পান করেন শি’শু জুবায়ের। তবে এই কথাই যে ছিল মা-ছে’লের ভালোবাসার শেষ স্মৃ’তি ।এরপর রাত ১টায় জুবায়ের মৃ’ত্যু বরন করেন বলে জা’নান তার পরিবাার। এদিকে মৃ’ত্যুর খবর শুনে, শুক্রবার রাত ১ টা থেকেই শি’শু জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি ও নানার বাড়িতে শো’কের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবার-স্বজনদের অর্তনাদ ও কা’ন্নায় ওই এলাকার আকাশ বাতাসও যেন ভাড়ী হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে গেলে শনিবার বিকেলে দেখা যায়, মৃ’ত শি’শু জুবায়েরের বাড়ি বাহেরচর বাজারে আত্মীয়-স্বজনদের কা’ন্নার রোল চলছে। কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে জুবায়েরের দাদি সালেহা বেগম বলেন, এই ‘কোরবানির এক সপ্তাহ পরেই আমা’র নাতী জুবায়ের ঢাকা বাবা-মায়ের কাছে যায়।

বাবার স’ঙ্গে প্রায়ই নিজে’র ইচ্ছাতেই নামাজ পড়তো ও (জুবায়ের)। তবে গতকাল ইচ্ছা না থাকা সত্বেও ওর বাবা ওকে নামাজে’র জন্য নিয়ে যান। নামাজ পড়তে গিয়েই আমা’র আদরের নাতি চলে গেছে পৃথীবি ছে’ড়ে।

জানতে চাইলে শনিবার বিকেল ৪ টায় নি’হত জুবায়েরের মা রাহিমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, তার ছে’লে জুবায়েরের ম’রদে’হ তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছে’লের ম’রদে’হ নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই রাঙ্গাবালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাঙ্গাবালীতেই ছে’লের লা’শ দা’ফন হবে বলে তিনি নি’শ্চিত করেন।