নামাজ নিয়ে উক্তি, বাণী ,স্ট্যাটাস,কবিতা-২০২৩

ফজর নামাজ নিয়ে উক্তি

আজকে আপনাদের সামনে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন কবিতা এবং হাদিস নিয়ে কথা বলব। নামাজ ইসলামের মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত। যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত।

নামাজ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমরা দৈনিন্দন শরীরের জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করে থাকি। আর নামাজের মাধ্যমে ব্যায়ামের চর্চা হয়ে যায়। তাই মুসলমান হিসেবে নামাজ কে আঁকড়ে ধরতে হবে। যারা নামাজ কে ভালোবাসেন নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। তাদের জন্য আমাদের এই পেজে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন হাদিস ও কবিতা তুলে ধরা হলো।

 

নামাজ নিয়ে, উক্তি ,বাণী ,স্ট্যাটাস,কবিতা

 

 

 

পৃথিবীতে উত্তম আবিষ্কার হল আমাদের এই নামায একথা বিজ্ঞানীরাই বলেছে, কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে সর্বোত্তম ব্যায়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

 

এখন বিজ্ঞানীরা যে পরিমাণ রিসার্চ করে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছে সেগুলো মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের দয়া হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু বছর আগেই বলে গিয়েছে

 

সকল বিজ্ঞানীদের হার মানিয়ে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার বান্দাদের জন্য যে ধরনের নিয়ম-নীতি পদ্ধতি চালু করে দিয়েছে সেটি সবকিছুই মানবকল্যাণমূলক।

 

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিরাজে গিয়েছিলেন, মিরাজ থেকে ফেরার আগে তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য উপহার স্বরূপ, মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিনের কাছ থেকে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসেন,

 

ফজর যোহর আসর মাগরিব এশা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হলো এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যাহা আমাদের উপর ফরজ।

 

আমিই আল্লাহ্‌ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর ।
(সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪)

 

নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
( সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬)

 

সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
( সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১)

 

হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ ।
(সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭)

 

যারা আল্লাহ্‌র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না ।
( সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯)

 

ভোরের সৌন্দর্য যে কতটা সুন্দর তা শুধু ফজরের নামাজ পড়া লোকগুলোই বলতে পারবে।

 

ফরজের নামাজ পড়ে দিন শুরু করলে সে দিনটাই রহমতের হয়ে যায়।

 

শীতের সকালে যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করল, সে যেন জান্নাতে একটি বাগান তৈরি করল।

 

ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম, তার চেয়েও বেশি উত্তম হচ্ছে ফজরের নামাজ।

 

জান্নাত খুঁজতে যেও না, ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু কর জান্নাত তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।

 

ফজরের নামাজের দুই রাকাত সুন্নতের যে পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়, এই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির যে পরিমাণ টাকা রয়েছে তার চেয়েও বেশি ধনী ফজরের নামাজের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া ব্যক্তি।

 

ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

 

ফজরের নামাজ পড়ে যে ব্যক্তি তার দিন শুরু করে, সে দিনটাই যেন খুব সুন্দর কাটে।

 

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,”যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে দিন শুরু করলো তার দায়িত্ব আমি নিজে নিয়ে নেই”।

 

ফজরের নামাজের যে কত ফজিলত তা যদি বান্দা তোমরা বুঝতে তাহলে কখনোই ফজরের নামাজ ছাড়তে না।

 

প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই বিশেষ ফজিলত রয়েছে, কিন্তু ফজরের নামাজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফজিলত রয়েছে।

 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ওয়াক্ত হচ্ছে ফজর এর ওয়াক্ত।

 

নামাজ সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।নামাজ বেহেস্তের চাবি।

 

আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
( সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩)

 

ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
( সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫)

 

তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্‌র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
(সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০)

 

হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
(সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩)

 

নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন এর উপর ভরসা করুন কেননা আপনার জন্য কোনটা ভাল হবে আর কোনটা মন্দ হবে তা তিনিই একমাত্র ভালো জানেন— ডঃ বিলাল ফিলিপস

যখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের সাথে আপনি সরাসরি কথা বলতেছেন— ইমাম ইবনুল কাইয়েম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছে একমাত্র তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে—- পবিত্র কুরআনুল কারীম

নামাজ পড়লে অন্তরে শান্তি পাওয়া যায় এটাই সবথেকে বড় কৃতিত্ব নামাজের ভিতরে

 

 

সর্বশেষ কথাঃ

এই ছিল আমাদের সর্বশেষ পোস্ট নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ও বাণী কবিতা। নামাজের হিসাব সর্বপ্রথম আমাদের হবে তাই আমরা নামাজ কে ভালবাসি এবং নামাজকে আকড়ে ধরি এটাই আমাদের কর্তব্য। এই পোস্টটি সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *