চাঁদপুরে কচুয়ায় ভাতিজীর গ’র্ভে চাচার সন্তান জ’ন্মদা’নের ঘ’টনায় এলাকায় চা’ঞ্চ’ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চাচা জাকির হোসেনের যৌ’ন লা’ল’সার শি’কার তার ভা’তিজী’র সন্তান প্র’সবে’র পর দ’ত্তক নিয়ে বাক-বি’তণ্ডা’র এক পর্যায়ে পু’লিশ জা’কিরকে আ’টক ক’রে।
১৬ বছর বয়সি মেয়েটি কচুয়া উপজে’লার জগতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। তারা আশ্রাফপুর ইউনিয়নের মতুরাপুর গ্রামের মিয়াজীর বাড়ির বাসিন্দা। জা’না যায়, অ’ন্ত:স’ত্ত্বা হওয়ার কয়েকমাস পর মেয়েটি ঢাকার টঙ্গীতে তার নানার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে মাস খানেক পূর্বে ছেলে সন্তান প্র’স’ব ক’রে।
সন্তান প্র’সবের পর তাকে কুমিল্লা শহরের এক ব্য’ক্তির নিকট দত্তক দেয়া হয়। দত্তক গ্রহিতা সন্তানটি দত্তক বিষয়ে কাগজপত্র সম্পাদন ক’রতে বলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর মেয়েটি কুমিল্লার কুচিয়াতলী হা’সপাতা’লের সামনে কাগজপত্র সম্পাদনের জন্য গেলে সন্তানটির জম্মদাতা পিতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে,
মেয়েটি কৌ’শল ক’রে জাকির হোসেনকে ঘ’টনাস্থলে নিয়ে আসে। এ সময় জাকির হোসেন নিজেকে সন্তানটির পিতা ও সন্তানের মাকে তার স্ত্রী হিসেবে দা’বি করলে মেয়েটি বলে-আমি আপনার কীভাবে স্ত্রী হই, আপনি তো আমা’র চাচা। এতে উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতি সন্দে’হ ক’রে কুমিল্লার কোতায়ালী থা’নার পু’লিশকে খবর দেয়।
পু’লিশ ঘ’টনাস্থলে এসে জাকির হোসেন ও মেয়েটিকে (সন্তানের মাকে) আ’টক ক’রে থা’নায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে আ’টক ক’রার বিষয়টি কচুয়া থা’নাকে অবহিত করলে কচুয়া থা’না পু’লিশ কোতায়ালী থা’না থেকে আ’টকৃতদের কচুয়া থা’নায় নিয়ে এসে নারী ও শি’শু নি’র্যা’ত’ন আ’ইনের ৯(১/১৩) ধারা’য় মা’ম’লা দা’য়ের ক’রে। মা’ম’লা নং-১৪।
মা’ম’লা দায়েরের পর দিন জাকির হোসেনকে কোর্টে সো’প’র্দ ক’রার মধ্য দিয়ে জে’লহাজতে প্রেরণ ক’রা হয়েছে। স্থা’নীয়রা জা’নান, জাকির হোসেন (৩৩) মেয়েটির স’স্পর্কে সৎ চাচা। একই বাড়ির বাসিন্দা ও পাশাপাশি ঘর বিদা’য় জাকির হোসেন যখন তখনই ভাতিজির ঘরে আসা যাওয়া করতো।
ভাতিজির সাথে কথা বার্তা বলার একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রলো’ভন দেখিয়ে ভাতিজির সাথে দৈহিক স’স্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ভাতিজী সন্তান সম্ভবা হলে চতুর চাচা জাকির হোসেন সুকৌ’শলে ভাতিজীকে তার নানার বাড়ি ঢাকার টঙ্গীতে পাঠিয়ে দিয়ে সে পার্শ্ববর্তী নাউপুরা গ্রামে বিয়ে ক’রে নেয়। নাম না প্রকাশ ক’রার শর্তে এক প্রতিবেশি জা’নান, চাচা জাকির হোসেনের যৌ’ন লা’ল’সার শি’কার ভাতিজী। মেয়েটির মা মোরশেদা বেগম সৌদি প্রবাসী।
দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় চাচা জাকির হোসেন ভাতিজীর সাথে অবৈ’ধ স’স্পর্কে জড়িয়ে পরে। তার দুই ভাই। বড় ভাই ব্যবসার কাজে ঢাকায় থাকে। বাড়িতে থাকেন ১৩/১৪বয়সী ছোট ভাই ও তার বাবা। চাচা-ভাতিজির এ দৈহিক স’স্পর্কের ঘ’টনায় এলাকার জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ ও নি’ন্দার সৃষ্টি হয়েছে। এবং এ বিষয়ের সুষ্টু বি’চার না হলে প্রজ’ন্মের সামাজীকিকরণে তীব্র প্র’ভাব পড়বে বলে মনে করছেন সচে’তন মহল।