গু’লি ক;রার পরও তিনি বেঁ’চে ছিলেন মেজর (অব:) সিনহা মো. রাশেদ খান। টেকনাফ থা’নার ওসি প্রদীপ কুমা’র দাস ঘ’টনা’স্থলে উপস্থিত হয়ে অ’ত্যন্ত নি’র্ম’ম ও অমান’বিকভাবে পা দিয়ে চেপে ধ’রে মা’টিতে লু’টিয়ে
পড়া মেজর (অব.) সিনহার মৃ;ত্যু নি’শ্চি’ত করেন। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতির’ক্ষা মন্ত্রণালয় স’ম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিনহা মো. রাশেদ খানের হ’ত্যা’কা’ণ্ডের প্র’তিবে’দন উপস্থাপন করা হয়। এতে সিনহাকে ব’হনকারী পিকআপ হা’সপা’তা’লে দে’রিতে পৌঁছানোর পেছনেও দা’য়ী ব্যক্তিদের দুর’ভিস’ন্ধিমূলক,
অ’পচে’ষ্টা ছিল বলে প্র’তিবে’দনে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্ম’দ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এ ত’থ্যের সত্যতা নি’শ্চিত করে বলেন, ”সে’নাবা’হি’নী মেজর (অব.) সিনহার হ’ত্যাকা’ণ্ডের একটি প্র’তিবে’দন দিয়েছে। কমিটি এই হ’ত্যাকা’ণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করার তা’গি’দ দিয়েছে।” কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে,
প্রতির’ক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবে’দনে বলা হয়েছে, এসপি মাসুদ সিনহা হ’ত্যা’র সঙ্গে জড়ি’ত। তিনি ঘ’টনার শুরু থেকে তদ’ন্তের কাজে অসহ’যো’গিতা ও বা’ধা দিয়ে আসছেন। ওই প্র’তিবে’দনে বলা হয়, ঘ’টনার পরপরই সিনহার পরিবার এসপি মাসুদকে বদ’লির দাবি জানায়। সে’নাসদরও সুষ্ঠু তদ’ন্তের এবং ন্যা’য়বি’চারের স্বা’র্থে তাকে ব’দলি করা দরকার বলে মত পোষণ করে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবে’দনে সেদিনকার ঘ’টনার বিবরণও তু’লে ধ’রা হয়। এতে বলা হয়, ”গত ৩১ জুলাই ২০২০ তারিখ আনু’মা’নিক ৯ টা ২৫ মিনিটের সময় টেকনাফ থা’নার আওতাধীন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় শামলাপুর পু’লিশ চেকপোস্টে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী কর্তৃক গু’লিব’র্ষণে বিএ-৬৯৩১ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নি’হ’ত হন।”
প্রাথমিক ত’থ্য বিবরণীতে জানা যায়, ”মেজর (অব.) সিনহা গত ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে ঢাকা থেকে স্টামফোর্ড ইউনিভা’র্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিনজন ছাত্রছা’ত্রীসহ ‘জাস্ট গো’ নামে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ট্রাভেল ভিডিও তৈরির নিমিত্তে কক্সবাজার আগমন করেন এবং নীলিমা কটেজ নামক একটি রিসোর্টে অবস্থান করে একমাস যাবত কক্সবাজারস্থ বিভিন্ন স্থানে শুটিং করেন।”
এতে বলাহয়, ‘৩১ জুলাই ২০২০ তারিখে রাত্রিকালীন শুটিং শেষে মেজরসহ (অব.) সঙ্গীয় সাহেজুল ইস’লাম সিফাতকে নিয়ে মা’রিশবুনিয়া পাহাড় থেকে নেমে নিজস্ব প্রাইভেট’কার করে মেরিন ড্রাইভ হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করেন।’ পথিমধ্যে শামলাপুরের পূর্বে বিজিবি চেকপোস্টে তাদেরকে ত’ল্লা’শি করার জন্য থামানো হয় এবং পরিচয় প্রাপ্তির পর ছেড়ে দেয়া হয়।
আনুমানিক ৯ টা ২৫ মিনিটের সময় শামলাপুর পু’লিশ চেকপোস্ট অ’তি’ক্রমের সময় ইন্সপেক্টর লিয়াকত এপিবিএনের ফোর্সসহ মেজর (অব.) সিনহার গাড়ি থামায়। মেজর (অব.) সিনহা গাড়ি থা”মিয়ে তাদেরকে পরিচয় দিলে এপিবিএন সদস্যরা প্রথমে তাদেরকে যাওয়ার জন্য সং’কেত দিলেও ইন্সপেক্টর লিয়াকত তাদের পুনরায় থামায় এবং তাদের দিকে পি’স্ত’ল ল’ক্ষ্য করে গাড়ি থেকে নামতে বলে।
সিফাত হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নেমে পে’ছনের দিকে গ’ম’ন করে। মেজর (অব.) সিনহা গাড়ি থেকে হাত উঁচু করে নামা’র পরপরই ইন্সপেক্টর লিয়াকত খুব কাছ থেকে মেজর (অব.) সিনহাকে ল’ক্ষ্য করে গু’লি করে। ঘ’টনার আনুমানিক ২০-২৫ মিনিট পর টেকনাফ থা’নার ওসি প্রদীপ কুমা’র দাস ঘ’টনা’স্থলে উপস্থিত হয়ে অ’ত্যন্ত নি’র্ম’ম ও অমান’বিকভাবে পা দিয়ে চে’পে ধ’রে মাটিতে লু’টিয়ে পড়া মেজর (অব.) সিনহার মৃ’ত্যু নি’শ্চি’ত করে বলে জানা যায়।”
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ”ওসি প্রদীপ কুমা’র দাস ঘ’টনা’স্থলে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রায় ২০-২৫ মিনিট মেজর (অব.) সিনহার আহ’ত দেহ ঘ’ট’নাস্থলে পড়ে ছিল এবং তিনি তখনও জী’বিত ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, উক্ত পু’লিশ চেকপোস্টটি এপিবিএন কর্তৃক পরিচালিত এবং ঘ’টনার সময় বাহারছড়া তদ’ন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থা’নার ওসি প্রদীপ কুমা’র দাসের ঘ’ট’না’স্থলে উপ’স্থিতি ঘ’টনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা এবং
পূ’র্বপরিক’ল্পনার ই’ঙ্গি’ত বহন করে বলে প্রতীয়মান। পরবর্তী সময়ে রাত ১০ টার সময় একটি পিকআপ সহকারে মেজর (অব.) সিনহাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতা’লে প্রেরণ করা হয়। আনুমানিক এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে পিকআপটি কক্সবাজার সদর হাসপাতা’লে পৌঁছলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।সূত্র : যুগান্তর